শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৩১ পূর্বাহ্ন
রাঙ্গাবালী প্রতিনিধি॥ পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলায় করোনা পরিস্থিতিতে দুস্থ-অসহায়দের খাদ্য সহায়তার ৮ বস্তায় ২৪০ কেজি ত্রাণের চালসহ একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
সোমবার বিকাল সাড়ে ৩ টায় উপজেলার রাঙ্গাবালী ইউনিয়নের জুগির হাওলা গ্রাম থেকে চালসহ আইয়ুব আলী ব্যাপারীকে আটক করা হয়।
আটক আইয়ুব আলী জুগির হাওলা গ্রামের আলী আকবরের ছেলে। তিনি পেশায় মুরগি ব্যবসায়ী।
পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাঙ্গাবালী ইউনিয়নের জুগির হাওলা গ্রামের বাসিন্দা আইয়ুব আলীর বাড়িতে পরিদর্শক (তদন্ত) মোস্তফা কামালের নেতৃত্বে অভিযান চালায় পুলিশের একটি দল। এ সময় তার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে খাদ্য অধিদফতরের লোগো সম্বলিত ত্রাণের ৩০ কেজি ওজনের ৮ বস্তা (২৪০ কেজি) চাল উদ্ধার করা হয়। এ সময় আয়ুব আলীকে আটক করা হয়।
পুলিশ হেফাজতে থাকাকালীন আইয়ুব আলী বলেন, জুগির হাওলা ৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মাসুদ তালকুদার তাকে এ চাল দিয়েছেন।
রাঙ্গাবালী থানার ওসি আলী আহম্মেদ বলেন, আইয়ুব আলীর ঘরের ভেতরের একটি বক্সের মধ্যে থেকে সরকারি বস্তায় ভরা চালগুলো পাওয়া যায়। এসময় আইয়ুবকে আটক করা হয়। ইউপি সদস্যসহ আইয়ুবের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাশফাকুর রহমান বলেন, আটক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে নিশ্চিত হয়েছি যে, এটা ত্রাণের জিআর চাল। মাসুদ মেম্বার তাকে এ চাল দিয়েছে বলে তিনি স্বীকার করেছেন। এ বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এই চাল মেম্বারের কাছে বা ওনার (আইয়ুব) কাছে থাকার কথা নয়। বরাদ্দ হয় চেয়ারম্যানের নামে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি হল ইউনিয়ন চেয়ারম্যান। সুতরাং সে এই ব্যবস্থাপনার মূল কর্তৃপক্ষ। এ চালটা রিসিভও করেন তিনি। সুতরাং এ চালটা সঠিক ব্যক্তির কাছে পৌঁছে দেয়ার দায়িত্ব তারই। এখনে মেম্বারদের কাছ থেকে সহযোগিতা নেয়ার দায়িত্ব তার, মেম্বারদের মাধ্যমে লোক সনাক্ত করবে তিনি। কিন্তু মেম্বারের কাছে তো চাল যাওয়ার কথা নয়। এখন তার কাছে গেল কীভাবে? কার মাধ্যমে গেল? সেই বিষয়ে তদন্ত করা হবে।
Leave a Reply